শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

বাজারের আগুন: ত্রিশালের কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া বিপাকে সাধারণ মানুষ

বাজারের আগুন: ত্রিশালের কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া বিপাকে সাধারণ মানুষ

Reading Time: < 1 minute

মেহেদী রিয়ন, ত্রিশাল ময়মনসিংহ :
ত্রিশাল উপজেলার কাঁচাবাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। লাউ থেকে শুরু করে ডিম, মুরগি কিংবা গরুর মাংস—প্রতিটি পণ্যের দামই ক্রমাগত বাড়ছে। আজ রবিবার সকালে ত্রিশালের কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, লাউ ১৫০ টাকা, বরবটি এবং ডেরস ১০০ টাকা কেজি, জিংগে ৮০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা কেজি এবং কাঁচা মরিচ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজ এবং রসুনের দামও আকাশছোঁয়া, যা ক্রেতাদের জন্য আরও চাপ বাড়িয়েছে।
এছাড়াও, চালের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রতি ৫ কেজি চাল ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন বাজেটে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। এদিকে, ব্রয়লার মুরগির দামও গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১৬০-১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায় পৌঁছেছে। আবার কোথাও কোথাও আরও ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম ২৫০-২৬০ টাকা, আর দেশি মুরগির দাম ৪২০ টাকা কেজি। বাজারে মুরগির পাশাপাশি ডিমের দামও বেড়েছে। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের ডজন প্রতি দাম ৫ টাকা বেড়ে এখন ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নজরুল কলেজ কাচাবাজারে বাজার করতে আসা আহনাফ জাহিন বলেন, “গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় কিনেছি, আর আজকে ১৮০ টাকায় কিনতে হলো। ডিমের দামও প্রতি পিস ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।” মুরগির ব্যবসায়ী শফিক মোল্লা জানান, “আমরা তো ডিম-মুরগি উৎপাদন করি না। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, ক্রেতার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, “গরু-খাসির মাংসের দাম বাড়েনি, তবে ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।” ক্রেতারা আরও বলছেন বাজারে সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের উপার্জন বাড়েনি। আমরা সাধারণ মানুষগুলো আছি মহাবিপদে। বাজার মনিটরিং না থাকায় হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com